স্বামী-স্ত্রীর ইসলামসম্মতভাবে পরিবার পরিচালনার একটি দিক হলো, একে অন্যকে ইবাদতের জন্য উদ্বুদ্ধ করা। ইসলাম চায়, স্বামী-স্ত্রী পরস্পর একে অন্যকে দ্বিনের পথে চলতে সহায়তা করুক। কোনো দম্পতি যদি তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে এবং পরস্পরকে সেই ইবাদতে উৎসাহিত করে, তাহলে সেই স্বামী-স্ত্রী রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রহমতের দোয়া লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহম করেন, যে রাত জেগে সালাত আদায় করে; অতঃপর সে তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে।
আর যদি সে ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তাহলে সে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয় (নিদ্রাভঙ্গের জন্য)। আর আল্লাহ ওই নারীর ওপরও রহম করুন, যে রাতে উঠে সালাত আদায় করে এবং নিজের স্বামীকে জাগ্রত করে। যদি সে ঘুম থেকে উঠতে অস্বীকার করে, তখন সে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৬)
অপর বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজ স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগ্রত করে এবং উভয়ে দুই রাকাত (নফল) সালাত আদায় করে, তাদের উভয়কে আল্লাহর পর্যাপ্ত জিকরকারী পুরুষ ও পর্যাপ্ত জিকিরকারিণী স্ত্রীলোকদের তালিকাভুক্ত করা হয়। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৯)
সুতরাং দাম্পত্য জীবনে আল্লাহর রহমত, বরকত ও রাসুলুল্লাহ (সা)-এর দোয়া পেতে হলে তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত হওয়া জরুরি। ইবাদতে একে অন্যের সহায়ক হওয়া চাই। স্বামী-স্ত্রীর এই ইবাদতগুজারির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর দ্বিনি প্রভাব পড়বে এবং তাদের পরবর্তী বংশধর দ্বিনের ছাঁচে গড়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।